কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
পেটের অতিরিক্ত চর্বি অনেকের জন্য অস্থিরতা কারণ।এই ইসমাটন্যাসের যুগে বুড়ি ওয়লা মানুষকে কি আর কেউ পছন্দ করে নাকি।অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক টা খারাপ লক্ষন।তবে চলুন যেনে নেই কিভাবে আপনি আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে পারেন।
ছোট ছোট ভুল অভ্যাসের কারণে আমাদের পেটের চর্বি বা মেদ বেড়ে যায়।আজকে দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এমন ১০ টি অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সূচিপত্রঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়।
- অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস
- অমনোযোগী ভাবে খাবার খাওয়া যাবে না
- পেটের চর্বি কমানোর জন্য ৯ টি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো
- চর্বি কমানো জন্য ৯টি ফল ওখাবারের উপকারিতা
- মানসিক চাপ বা দুষ্ট চিন্তা পরিহার করুন
- সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের রুটিন বদলাতে হবে
- অতিরিক্ত শুয়ে বা বসে থাকা ও যাবে না।হাটা চলা ও দৌড়ানো
- আঁশযুক্ত মিষ্টি ফল
- প্রতিবেলার খাবার প্রতি বেলা খওয়া
- অতিরিক্ত চর্বির ক্ষতিকর দিক গুলো
অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাসঃ
অতিরিক্ত কনো জিনিস ভালো না সেটা আমরা সকলেই ভালো করে জানি।তাই আমাদের অতিরিক্ত খাবার অভ্যাস টা ত্যাগ করতে হবে।একটি মানুষের দৈহিক চাহিদার জন্য যতোটুকও খাবার খাওয়া প্রোয়জন ততোটুক খাওয়া ভালো।আর বিষেস করে
আরো পরুন ঃ ওজন নিয়ন্ত্রনের জন্য ছোলার উপকারিতা
চর্বি যাতিও খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আর বিষেস করে বাইরের খাবার এরিয়ে চলবেন।কারণ বাইরের খারারে অনেক রকমের সুসাদু করার জন্য মেডিসিন ব্যাবহার করে। এতে খারের ভিতর অন্য রকমের স্বাদ খুজে পাওয়া যায়। তার জন্য এই খাবার আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যেতে পারে।এতে করে পেটের চর্বি বেড়ে যেতে পারে।
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় ঃ
খাবার খাওয়ার সময় তাড়াতাড়ি করে খাবার খাবেন না।কারণ খাবার খাওয়ার সাথে আমাদের ব্রেন বা মস্তিকে অনেক টা ভুমিকা রাখে। খাবার খাওয়ার পর প্রথমে খাবার পেটে যায়।এবং পাকস্থলী থেকে ব্রেনে একটা মেসেজ দেয় পেট ভরেছে কি না বুঝতে আমাদের মস্তিষ্কের ১০-২০ মিনিট সময় লাগে।তাই দ্রুত খাবার খাওয়ার জন্য। আপনি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলতে পারেন।তার জন্য ধীরগতির সাথে খারার খাওয়া অভ্যাস করুন।এতে আপনার জন্য এবং আপনার স্বাস্থের জন্য ভালো হবে।
অমনোযোগী ভাবে খাবার খাওয়া যাবে না ঃ
খাবার খাওয়ার সময় অমনোযোগী হয়ে খাবার খাওয়া যাবে না। খাবার খাওয়ার সময় পূর্ণ মনোযোগী হয়ে খাবার খাওয়া। এই খাবার খাওয়ার প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে মাইন্ডফুল ইটিং। মনোযোগ সহকারে খাবার খেলে খাবার বেশি খাওয়ার সম্ভনা কম হয়। এর জন্য খাবের ক্যালোরি কম হওয়ার সম্ভবনা কম হয়।খাবার সময় অমনোযোগী হলে বা খাবার সময় মোবাইল টেলিভিশন দেখতে দেখতে খাবার খাওয়া অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
কারণ আমরা সাধারণত খাবার সময় অমনোযোগী হয়ে বা টেলিভিশন দেখে খাবার খাওয়ার সময় বেশি এবং অতিরিক্ত পরিমানে খাওয়ার সম্ভব হয়।এতে করে আমাদের দেহের ওজন অনেক অংশেই বেড়ে যায়। এবং পেটের আকৃতি বেড়ে যায় যার ফলে দেখতে অনেক টা খারাপ লাগে। তাই খাবার সময় মনোযোগ সহকারে খাবার খাওয়ার উত্তম।
পেটের চর্বি কমানোর জন্য ৯টি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো
১)শসা
২)বাদাম/লেবু
৩) করলা
৪) খেজুর
৫) পালংশাক
৬) ফুলকপি
৭) সামুদ্রিক মাছ
৮) আঁশযুক্ত
৯) মিষ্টি ফল
১০)আখরোট ও কাট বাদাম
চর্বি কমানো জন্য ৯টি ফল ওখাবারের উপকারিতা ঃ
করলাঃ
এই খারার গুলো প্রতিদিনের খাবার তালিকায় খারলে পেটের অতিরিক্ত চর্বি অনেক টা নিয়ন্ত্রণ আসবে।এর ভিতর অনেক কবার আপনার জন্য অপছন্দের হতে পারে। যেমনঃ (1) করলা খেতে অনেকটা তিতু।যা সবার পক্ষে খাওয়া সম্ভব না। কিন্তু কষ্ট হলেও এটা খেলে আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। কারন করলায় আাছে বিষেস গুন। করলায় ক্যালরি কম থাকায় মোটা হওয়া স্বাস্থ বাড়ার কনো চিন্তা নেই।
এতে প্রচুর পরিমানে পানি আছে। এতে করে স্বস্থের কনো ঝুঁকি ও নেই।করলায় হাইড্রোশনে সাহায্য করে এতে রয়ছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ।
শসাঃ
পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য (2)শসার ভুমিকা টাও কম না। শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমনে পানি।যা স্বস্থের জন্য ভালো। শসায় আরো রয়েছে ক্যালোরি। কিন্তু ক্যালোরির সংখ্যা কম হওয়ার ফলে পেটের অতিরিক্ত চর্বি বাড়ার সম্ভাবনা কম হয়।
পালংশাক ঃ
পালংশাক অনেকেই আাছে এখন আর খাবার সময় শাক সবজি জাতীয় খাবার খেতে চাই না।শুধু মাছ,মাংস,ডিম,চর্বি যুক্ত মাংস খেতি বেশি পছন্দ করে থাকেন।এতে করে যে আপনার ক্ষতি আপনি করছে। সেটা আবার কই জনেই জানেন।তাই সবজি জাতিও খাবার খাওয়া অভ্যাস করুন পালংশাক চর্বি কমানোর জন্য অনেক উপাকারি।
আরো পরুন ঃ হৃদ রোগের জন্য ছোলার উপকারিতা।
কারণ পালংশাকে রয়েছে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালরির সংখ্যা কম হওয়ার ফলে এটি শরীর স্বাস্থ নিয়ন্ত্রণে রাখে বা ওজন কামানে সাহায্য করে।তবে অতিরিক্ত পালং শাক খেলে কিডনি রোগীদের সমস্যা হতে পারে।কারণ পালংশাক কিডনির জন্য অনেক বিপদ জনক।
বাদাম ও লেবু ঃ
বাদাম ও লেবু চর্বি কমানোর জন্য লেবুর রস অনেক উপকারি অনেকই জানি এটা কি অসলেই সত্যি নাকি মিথ্যা। আসলে লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি।আর আমদের মতো অনেকই ভুল ধারনা করে থাকি লেবু খেলে মেদ কমে বা তলা পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমে।কিন্তু এটা একেবারে ভুল ধারনা লেবুর রস গরম পানি করে খেলে চর্বি কমে না।
লেবুর রসে আছে সাইট্রিক এসিড। তবে এই এসিডের সাথে তলা পটের চর্বি কমা নিয়ে কনো সাদৃশ্য নেই। এটি একদম ভুল ধারনা তবে আপনার যদি শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব থাকে তাওলে এটা অনেকটা উপরে অসবে।
খেজুর ঃ
খেজুর আমাদের পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে অনেকটা সাহায্য করে।চলুন এর কারণ টা জেনে নেওয়া যাক। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন গ্লুকোজ ঘারতির সমাধান ও মিনারেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ম্যাগনোশিয়াম সাইফার খেজুরে কোলেস্টেরোল।এবং চর্বি এর মাত্রা খুবই কম থাকে। খেজুরে অতিরিক্ত ফাইবার থাকে এর ফলে ওজন টা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পুষ্টিবিদের গবেষণা অনুযায়ী খেজুরে প্রচুর পরিমাণ প্রটিন থাকায় শরীর টা ফিট ন্যাস থাকে।
সামুদ্রিক মাছ ঃ
পেটের চর্বি কমানোর জন্য সামুদ্রিক মাছ অনেক টা উপাকি।সামুদ্রিক মাছ খেলে পেটের অতিরিক্ত চর্বি জনিত সমস্যা দূর হয়। এছাড়া ও সামুদ্রিক মাছের তেল ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং চর্বি কামানোর জন্য অনেক কার্যকারি। সামুদ্রিক কি কি মাছ খেলে ভালো হয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।সার্ভিল, রাভা টুনা,রাঙদার, ম্যাকলের।এই মাছ গুলো আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য খুবই উপকারি। এই মাছ গুলো অনেক প্রটিন রয়েছে।
সামুদ্রিক মাছে একধরেন তেল বা চর্বি থাকে। যা ওজন কমানোর জন্য খুবই উপকারি। এই তেলের নাম হলো গুড ফ্যাট। এছাড়া সামুক ঝিনুক ও অনেকটা উপকারি চর্বি কমানোর জন্য। কিন্তু এই মাছ গুল যতো টা উপাকি এবং এর অপকারিতা আছে। অতিরিক্ত খেলে।কারণ সামুদ্রিক মাছে মারকিউরি থাকে যা স্বাস্থের জন্য ক্ষতি কর। তাই অতিরিক্ত না খাওয়াই স্বাস্থের জন্য উপাকারি।
আঁশযুক্ত মিষ্টি ফল ঃ
আঁশযুক্ত মিষ্টি ফল খেলে চর্বি কমে। আঁশযুক্ত ফলের মধ্যে রয়েছে।আপেল,কলা,পেঁপে, তরপুজ,কমলা লেবুআপেলে অনেক ভিটামিন থাকে। আপেল খেলে ক্ষুধা লাগার সম্ভব অনেক কম হয়। এতে করে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার সম্ভব হয় না।কলাই আছে অতিরিক্ত ক্যালরি ও পুষ্টি সম্পন্ন। কিন্তু এই কলা খেলে স্বাস্থে কনো অবগতি হয় না।
ফুল কপিঃ
আঁখরোট ও কাটবাদামঃ
আরো পরুন ঃ ছোলা খেলে ওজন কমে নাকি বাড়ে
বা পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য খুবই উপকারি। কমলা লেবু লেবুই আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো। কমলা লেবুই আছে ফাইবার যা আমাদের পেট কে অনেক ক্ষণ ভরা রাখে এতে ক্ষধার পরিমান টা অনেক অংশে কমে যায়।কমলা লেবুই অতিরিক্ত ভিটামিন-সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
পেঁপে খেলে আমাদের পেটের অতিরিক্ত চর্বি অনেক অংশেই কমে যায়।তরমুজ আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং পানির উৎস। তাই তরমুজ খেলে শরীর থেকে পানিশূন্য তা অনেক অংশেই কমে যায়।শরীর সব সময় সতেস রাখে।এবং ক্ষধা লাগার সমস্যা দূর করে। এতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া প্রবনতা অনেক অংশেই কমে যায় এবং পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানো সম্ভব হয়।
মানসিক চাপ বা দুষ্ট চিন্তা পরিহার করুনঃ
একটি মানুষ মানিসিক চাপে থাকলে তার শরীর অনেক টা অসাভাবীক প্রবাব ফেলে।আমরা যতো দিন, মাসের পর মাস, মানসিক চাপ নিয়া চিন্তা ভাবনা করি।এতে আমাদের দেহের হরমনের অনেক ক্ষতি হয়। আমরা যখন মানুসিক চাপে ভুগি এতে করে আমাদের শরীরের (কার্টিসল) নামক হরমনের ক্ষতি হয়।
এতে আমাদের হরমনের ক্ষয় পূরনের জন্য। মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া প্রবতনা বেড়ে যায়।এবং (কার্টিসল) নামক হরমনের জন্য।পেটের চর্বি বাড়াতে অনেক উপকারি। তাই মানসিক চাপ প্রত্যাহার করতে হবে।
আই এনটি আইটি সাইডর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url