চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যাবহার
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যাবহার অনেক উপকারি।চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যাবহারে কি কি উপকার হয়?চলুন আজকের আর্টিকেলে জেনে নেওয়া যাক। আরো জনবো চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যাবহার এর নিয়ম সম্পর্কে। কালোকেশীর সাথে গ্রামের বা অঞ্চলের ভালো মিল রয়েছে।তবে অনেকেই চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যাবহার সম্পর্কে জানে না।
কি কি গুন রয়েছে এই কালোকেশী এর মধ্যে। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যাবহারে কি কি উপকার হয় সে সম্পর্কে ভালো ভাবে জানে না। কালোকেশী ব্যাহারে কি শুধু চুলের উপকার হয় নাকি অন্য কনো উপকার হয়। চলুন জানা যাক আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত।
পেজ সূচি পত্রি চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার
- কালোকেশী সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য
- চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারের উপকারিতা
- কালোকেশীএর মধ্যে থাকা ঔষধি গুনা গুন সম্পর্কে বিস্তারিত
- কালোকেশী এর মাধ্যমে আমাদের শরীরের থেকে যে সকল রোগ থেকে মুক্তি মেলে
- মশা নিধনের জন্য কালোকেশী ব্যবহার
- কালোকেশী পাতা থেকে তেলে তৈরি করার নিয়ম
- কালোকেশী কিভাবে চুলে ব্যবহার করবেন
- চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কালোকেশী তেলের উপকারিতা
- উপসংহার
কালোকেশী সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য
কালোকেশী এমন একটি উদ্ভিদ সবাই এর সাথে পরিচিত। কিন্তু এর সম্পর্কে ভালো ভাবে জানা নাই অনেকেরই। কালোকেশী হলো একটি উদ্ভিদ বা গাছ এই গাছের মধ্যে অনেক ঔষুধের গুনাবলি রয়েছে। এটির সাথে সকলেরই পরিচিত আছে। এই গাছটি পুকুরের পাড়ে,জলাশয়, নদীর পাড়ে খালবিলে জন্মে থাকে। তবে এই কালোকেশী এর অনেক নাম রয়েছে। একেক জায়গায় একেক নামে চিনে থাকে এই গাছটিকে।যেমন-কালোকেশী,কেশুতি,কলসাতা,কেশরাজ,কেশত পাতা ইত্যাদি।তবে নাম ভিন্নতা হলেও কি এর গুনাগুন কিন্তু একই।
প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ তাদের চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যাবহার করে আচ্ছে। কালোকেশী ব্যাবহারে চুল অনকে কালো ও গন হয়। শুধু কালোকেশী ব্যাবহার চুল কালো না।চুলের যে কনো সমস্যা সমাধানের জন্য কালোকেশীর উপকারিতা অনেক। যেমন-চুল পড়া,খুশকি হওয়া,চুল কালো করা,এবং অকালে চুল পাকা থেকে দূর করে ইত্যাদি।কালোকেশী শুধু বাংলাদেশীর মানুষ ব্যাবহার করে না অন্যান্য দেশের মানুষ ব্যাবহার করে থাকে।
আরো পড়ুন ঃ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
যেমন- বাংলাদেশ, ভারত,ইন্দোনেশিয়া,ব্রাজিল, চীন, এই সকল দেশেও কালোকেশী গাছ এর দেখা পাওয়া গেছে।এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যাবহার করে উপকৃত হয়ছে। তবে কালোকেশী যেহেতু ভিবিন্ন পুকুর পারে বা নদীর পারে হয়। তাই কালোকেশী খুজতে হলে গ্রাম অঞ্চলে যেতে হবে।তবে কালোকেশী এর দুইটা জাত রয়েছে যেমন-সাদা ফুল এবং হলুদরঙ এর ফুল দ্বারা আকৃষ্ট করা। তবে ছোট্ট এই গাছের মধ্যে রয়েছে বিষেস ওষুধের গুনাবলি ও ঔষধের উপাদানে ভরপুর।
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারের উপকারিতা
আমাদের সকলেরই পছন্দ ঝিকঝিক কালো চুল। প্রত্যেক ব্যক্তি চায় তার ঝলমলে কালো সুন্দর চুল হয়ে উঠুক। এক্ষেত্রে মেয়েদের বিষেশ ভুমিকা পালন করে কালোকেশী। কারণ মেয়েরা চাই তাদের চুল ঝলমলে কালো এবং সুন্দর লম্বা হোক। মেয়েদের চুল যতো বেশি লম্বা এবং ঝলমলে কালো রঙ্গের হবে। ততো বেশি ভালো এবং সুন্দর দেখাবে তাদের চুল। এই জন্য অনেকে বাজার থেকে বিভিন্ন ব্যান্ড এর তেল ব্যবহার করে থাকে।
বাজারে হাজারো ব্যান্ড এর প্রডাক্ট ব্যবহার করলে চুলের কিছু উপকার হয়। কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখা খুব প্রয়োজন বজারে বিক্রয় কৃত পণ্য গুলো বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে।যা ব্যবহার করার ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা এবং চুল পড়া বন্ধ দূর না করে বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার অনেক সময় মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যর অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমরা চাইলে চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার ঘরোয়া উপায়ে করতে পারি।
ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার সঠিক সমাধান। কালোকেশী ব্যবহার করে চুল লম্বা এবং ঝলমলে কালো করা সম্ভব। এবং চুল পড়া মাথার খুশকি দূর করতে পারি কালোকেশী ব্যবহার করে। তাই আমরা বাজারের বিভিন্ন ব্যান্ড এর কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে।ঘরোয়া উপায়ে নিজেই নিজের চুলের যত্নের জন্য কালোকেশী ব্যবহার করতে পারি।
আরো পড়ুন ঃ খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
এবং চুলকে ঝলমলে কালো ও উজ্জ্বল করে তুলতে পারি ঘরোয়া উপায় কালোকেশী ব্যবহার করে।কালোকেশী তে থাকা ভিটামিন -ই ও ভিটামিন ডি আমাদের চুলের গোড়া থেকে মজবুদ করে তলে।এতে আমাদের মাথার চুল পড়া বন্ধ দূর হয়।এছাড়া ও আমাদের মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
কালোকেশীএর মধ্যে থাকা ঔষধি গুনা গুন সম্পর্কে বিস্তারিত
কালোকেশী এর মধ্যে অনেক ঔষধি গুনা গুন থাকে।যা আমাদের শুধু যে চুলের যত্নে জন্য নয়। শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য খুবই উপকারি। অনেক আগে থেকেই মানুষ কালোকেশী বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতে কালোকেশী ব্যবহার করে আসছে। এখন নতুন প্রযুক্তির যুগ তাই মানুষ আর এখন তেমন গাছ-গাছরার উপর তেমন ভরসা করে না। এখন কনো রোগ বা কনো সমস্যা হলেই ঔষুধ সেবন করতে ব্যস্তহয়ে পড়ে। আগের দিনে এতো ডাক্তার বা এতো প্রযুক্তি বা ঔষধ ছিলো না।
পূর্বের দিনে মানুষ বিভিন্ন গাছের ওপর ভরসা করতো। এবং কনো রোগ ব্যাধি হলেই কবিরাজ গনের কাছে যেতেন। এবং কবিরাজ গাছ দিয়ে ঔষুধ বানিয়ে দিতেন। তাই তারা বিশ্বাস করে সেবন করতে এবং রোগ থেকে মুক্তি লাভ করতেন। আয়ুর্বেদী চিকিৎসাকের মতে কালোকেশী এর পাতা বেটে রস করে খেলে শরীরে রোগ ভালো হয় এবং সর্দি ও কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার যায়। এছাড়া কনো জায়গা কেটে গেলে বা রক্ত ক্ষরণ হলে কালোকেশী এর পাতা বেটে লাগিয়ে দিলে সমস্যা দূর করে।
এছাড়া ও শরীরে কনো স্থানে ঘা বা ক্ষত হলে সেই স্থানে কালোকেশী এর পাতা বেটে লাগিয়ে দিলে সমস্যা দূর করে।এছাড়াও পেটের সমস্যা এবং পেটের অতিরিক্ত কৃড়মি দূর করার জন্য খুবই উপকারি কালোকেশী এর পাতা। এছাড়াও কালোকেশী এর পতার গুরা নিয়মিত কয়েক দিন গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে পেটের কৃড়মি দূর হয়ে যায়। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করার ছাড়াও আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে এই কালোকেশী এর পাতা।
কালোকেশী এর মাধ্যমে আমাদের শরীরের থেকে যে সকল রোগ থেকে মুক্তি মেলে
কালোকেশী এর মাধ্যমে আমাদের শরীরের অনেক রোগের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।কারণ কালোকেশীর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন। আয়ুর্বেদী বা বিশেষজ্ঞ চিৎকিসক বলে এই ছোট্ট গাছের মধ্য রয়েছেবিষেশ গুন। এই ছোট্ট জাতের উদ্ভিদ এর মাধ্যম শরীরের অনেক জটিল ও কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার যায়। এর জন্য আয়ুর্বেদি চিকিৎসক রা কালোকেশী এর ব্যবহার বেশি করে থাকে। কালোকেশী খাওয়ার মধ্যেমে যে সকল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সেগুলো নিচে তালিকা করে দেওয়া হলোঃ
- মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার যায়।
- লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্যে করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্যে করে।
- পেটের কৃমড়ি দূর করতে সাহায্যে করে।
- মুখের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
- শরীরে কাটা ঘা বা ক্ষত দূর করতে সাহায্যে করে।
মাথাব্যথাঃ আমাদের সবারই কম বেশি মাথাব্যথা হয়। মাথাব্যথা হয় না এমন লোক সংখ্যা খুবই কম।তবে মাথাব্যথা এর বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তবে যে কারণেই মাথাব্যাথা হোক না কেনো।কালোকেশী ব্যবহার এর ফলে নিমিষেই মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে। যাদের প্রচুর পরিমাণ মাথাব্যথা হয়। তাদের জন্য কালোকেশীর পাতার রস খুবই উপকারি। কালোকেশীর পাতার রস ১থেকে ২ ফুটো রস নাটকের ছিদ্রের ভিতর দিতে হবে।এবং কিছু পরিমাণ রস কপালে মালিশ করতে হবে। এতে আশা করা যায়। মাথাব্যথা নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে।
লিভারের সমস্যাঃ লিভার আমাদের শরীরের খুবই দামি একটা জিনিস। কারণ আমারা যা কিছু খাই না কেনো সকল কিছু প্রসেস করে এই লিভার। তাই লিভারের যত্ন নেওয়ার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আর আমরা যদি অবহেলা করে রাখি লিভারের কোন যত্ন না নেই তাহলে অকালে মৃত্যুর দিক ঢলে পড়তে পারি। এর কারণেই লিভারের যত্নে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভাবে যত্ন নিতে হবে। প্রতি দিন কালোকেশী খাওয়ার ফলে লিভার সকল সমস্যা দূর হয়। এ ছাড়াও লিভার এর জন্ডিস এর মতো ভয়াবহ রোগ থেকে মুক্তি মেলে এই কালোকেশী খাওয়ার ফলে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ বর্তমানে এখন অনেক মানুষের ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। আর এই ডায়াবেটিস রোগ থেকে মুক্তি পেতে কতো কিছুই না করে। তাও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কিন্তু একটা ব্যক্তি যদি প্রতিদিন ১থেকে ২ চাপচ কালোকেশী এর রস খেতে পারে। তাহলে অনেক দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হবে।
পেটের কৃমড়ি দূরঃ কালোকেশীর রস প্রতিদন নিময় করে খেতে পারলে পেটের কৃমড়ি দূর হবে।
আরো পড়ুন ঃ হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য মধু ও কালোজিরা
মুখের ব্রণঃ আমাদের মুখে ব্রণ উঠলে কেমন যানি বিশ্রী দেখায়। আর এই ব্রণ সাধারণ যুবক যুবতী দের বেশী হয়ে থাকে। তবে চিন্তা নেই এই মুখের ব্রণ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়ার যাবে কালোকেশী ব্যবহার এর ফলে। যাদের মুখে ব্রণ উঠে তাদেরকে কালোকেশীর পাতা বেটে মুখের যেখানে ব্রণ উঠেছে সেই খানে লাগাতে হবে। এতে করে অনেক সহজে মুখের ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
কাটা ঘা বা ক্ষতঃ শরীরে কোন স্থান কেটে বা ক্ষত হলে। কালোকেশী বেটে সেই জায়গা লাগিয়ে দিলে। অনেক দ্রুত সেই জায়গা থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে এবং ক্ষতস্থানের ঘা শুকিয়ে দিবে।
মশা নিধনের জন্য কালোকেশী ব্যবহার
মশা খুবই ভয়াবহ প্রাণী। আর বর্তমানে মশার আবির্ভাব অনেকটাই বেশি। আরে মুশার কামড়ের ফলে বিভিন্ন রোগের দেখা দিতে পারে।বিশেষ করে মশার কামড়ের ফলে ডেঙ্গু জ্বরের দেখা দিতে পারে। আর এই ডেঙ্গু অনেক মারাত্মক ব্যাধি। একবার ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের শরীরের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং শরীর ধীরে ধীরে নার্ভাস হয়ে পরে। এবং শরীরে রক্তকণিকা কে নষ্ট করে দেয়। যার কারণ শরীরে নতুন করে রক্ত উৎপাদন হতে পারে না।
আর এই ডেঙ্গু জ্বর এর ফলে মানুষ অকালে মৃত্যুর দিক ঢলে পরে। আর এই ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার প্রধান কারণ হলো ডেঙ্গু মশার কামুড়। এছাড়াও ডেঙ্গু মশার কামুরে আরো অনেক রোগ দেখা দেয়। আমরা সাধারণত এই মশা গুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কয়েল ব্যবহার করে থাকি। আর এই কয়েল এর ধোয়া আমাদের স্বাস্থ্য এর জন্য অনেক খারাপ প্রভাব ফেলে। কারণ কয়েলের মধ্যে রয়েছে মারাত্মক কেমিক্যাল। এর জন্য আমাদের স্বাস্থ্য এর জন্য অনেক ক্ষতিকর।বিষেশ করে বাচ্চাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর এই কয়েলের ধোয়া।
এর জন্য আমরা মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল এর পাশাপাশি কালোকেশী ব্যবহার করে অনেক সহজে মশার কামুর থেকে রক্ষা পেতে পারি।কালোকেশীর পাতার রস ২ চামচ পানিতে মিশিয়ে ঘরে এবং বাইরে স্প্রে করে দিলে। অনেক দ্রুত মশার কামুর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কালোকেশী পাতা থেকে তেলে তৈরি করার নিয়ম
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করতে। কালোকেশী পাতা থেকে তেল তৈরি করার নিয়ম জানতে হবে।কালোকেশী পাতা থেকে তেলে তৈরি করার নিয়ম জানতে হলে।আজকের এই পোস্টটি ভালো ভাবে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কালোকেশী পাতা থেকে তেল তৈরি করার জন্য প্রথমে ফুল,মেথি,আমলকি ও কালোকেশীর পাতা এক সাথে ব্লেন্ডার করতে হবে। এরপর এই ব্যালেন্ডার এর ভেতর ২৫০ গ্রাম নারিকেল তেলে মিশিয়ে ভালো ভাবে মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর চুলায় উপর দিয়ে হালকা করে গরম করে নিতে হবে।
এবং গরম করে নেওয়ার পর ঠান্ডা করে নিয়ে বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে। এবে একটা কথা অনেক ভালো ভাবে মনে রাখতে হবে জ্বাল দেওয়া সময় যেনো অতিরিক্ত পরিমাণে গরম না হয়ে যায়।এভাবেই অনেক সহজে কালোকেশীর পাতা থেকে অনেক সহজেই তেল তৈরি করতে পারবো। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। কালোকেশী তেল চুলকে সুন্দর এবং ঝলমল করে।এবং দেখতে অনেক সুন্দর লাগে চুল।
কালোকেশী কিভাবে চুলে ব্যবহার করবেন
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার কিভাবে করবেন। এই বিষয় গুলো এখন আলোচনা করব। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে এর মান কালোকেশী বা কেশ রাজ বলা হয়ে থাকে। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার এর ফলে। চুলের গোড়া থেকে মজবুত করে এবং চুল পরা বন্ধ করে অনেক দ্রুত ও মাথা ঠান্ডা রাখে।আমাদের মধ্যে অনেকই আছে অকালে চুল পাকে বা চুল পরে শেষ হয়ে যায়। তারা এই বিষয় নিয়ে লোক সমাজের মাঝে বিভ্রান্তির মধ্যে ভোগে।
বিষেশ করে লোক সমাজের মধ্যে গেলে বা অনুষ্ঠানে গেলে এই পাকা চুল নিয়ে লজ্জার মধ্যে পরে।আর এই পাকা চুলকে কালো করার জন্য কালোকেশী অনেক উপকারি। পাকা চুল কে কালো করার জন্য এই কালোকেশীর পাতা পানির সাথে মিশিয়ে পানি গরম করে ফুটিয়ে নিন। এবং একটু পর ঠান্ডা হলে তা মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। ৩০মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এবং মাথায় খুশকি হলেও কালোকেশী রস প্রতিদিন ব্যবহার করলে মাথার খুশকি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন ঃ সর্দি কাশি কমানোর জন্য মধু ও কালোজিরা
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার অনেক উপকারি।চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার এর ফলে চুল এবং মাথার খুশকি দূুর হয়। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে ২থেকে ৩দিন নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে চুল কালো এবং মাথার উঁকুন দূর করবে।
চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কালোকেশী তেলের উপকারিতা
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার খুবই উপকারি একটা উপাদান। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কালোকেশী তেলের বিষেস কয়েক টা উপকারিতা রয়েছে সেগুলো হলোঃ
- চুলের বৃদ্ধিতে সহয়তা- কালোকেশী তেলের বিশেষ একটা বৈশিষ্ট্য হল এই তেল চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা বজায় রাখে।এবং চুলের গোড়া থেকে মজবুত করে তোলে। চুলের গঠন শক্তি শালী করতে সহায়তা করে।নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
- চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে -চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করার ফলে মাথার চুল পড়া বন্ধ হয়। কালোকেশী তেল চুলের গোড়া থেকে মজবুত করে তলে এবং চুলের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে দেয়। যা চুল পড়া দূর করতে অনেক টা ভুমিকা পালন করে থাকে।
- চুলের আদ্রতা বজায় রাখা - চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করার ফলে চুলের আদ্রতা বজায় থাকে। কালোকেশী হলো একটি প্রাকৃতিক উপাদান তাই কালোকেশী তেলে চুলের প্রকৃতিক আদ্রতা বজায় রাখে। চুলকে মসৃণ এবং কোমল করে তোলে এবং উজ্জ্বল কালো রঙের করে।
- চুলের সাইন বৃদ্ধি করে - চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করে চুলের সাইন বৃদ্ধি হয়। কালোকেশী তেল আমাদের চুলের গোড়া থেকে মজবুত করে। এবং চুলকে করে ঝলমলে কালো করে। কালোকেশী তেল চুলকে করে মসৃণ ও কোমল এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। কালোকেশী তেলের ভিতর কিছু ভিটামিন উপাদান থাকে।এগুলো আমাদের চুলের জন্য খুবই উপকারি। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার এর কয়েকটি ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদানের নাম নিচে দেওয়া হলোঃ
- ভিটামিন-ই
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- ফ্যাট ও অ্যাসিড
- প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদান
- চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
উপসংহার
আজকের আর্টিকেলের এর মাধ্যমে জানতে পারলাম চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার। আরো জানতে পারলাম কিভাবে কালোকেশী পাতা ব্যবহার করে তেল তৈরি করা যায়। তবে বিষেশ সতর্কতা অবলম্বনে বলা যায় এগুলো হলো ঘরোয়া উপাদান। তাই ব্যবহার পূর্বে ভালো কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন।
তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন। কেননা আমাদের ওয়েবসাইট সাইরে প্রতিনিয়তো নতুন নতুন বিষয়ে আর্টিকেল পোস্ট করে থাকি।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতক্ষণ আমাদের সাথে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আই এনটি আইটি সাইডর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url