রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। ঘুম হচ্ছে আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।কারণ আমাদের সুস্থ জীবন যাপন করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম প্রয়োজন ।
আমাদের মাঝে মধ্যে অনেকেরই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়ার ফলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে সমস্যা নেই আজকের এই আর্টিকেলে ঘুম না আসার এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব । ঘুম না হলে অনেক সমস্যা হয় এটা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা থাকে না । তাই রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মনোযোগ সহকারে আজকের এই পোস্টটি পড়তে থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
একজন মানুষের সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ঘুমের প্রয়োজন অপরিসীম । স্বাভাবিক বা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো দরকার । রাতে ঘুম না আসা বা পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়া এটা সাধারণত একটি রোগের লক্ষণ । রাতে ঘুম না হওয়ার ফলে অনেকে সকালে বা দিনে ঘুমায় এতে করে মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে । এবং কাজ করার প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। তবে বিশেষ করে শিশু থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যে এ ধরনের পরিবর্তন বা ঘুম না আসার লক্ষণ দেখা দেয়।
বর্তমানে অনলাইনের যুগে অনেকেই অনলাইনে ভিডিও বা মিডিয়ার সাথে সংযুক্ত থাকে । এর ফলে তাদের যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো দরকার সেটা অনেকেই ভুলে যায় । তারা ঘুমানো বাদ দিয়ে সারারাত সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কের সময় পার করে । এতে করে অনেকের পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ দেখা দেয় । যেমনঃ চোখের নিচে কালো হয়ে যাওয়া,মাথার ভিতরে ঝিমঝিম করা , মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া । কোন কাজের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলা শরীরে ক্লান্তি চলে আসা স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হওয়া ।
কোন কাজের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলা অলসতা দেখা দিলে বুঝে নিতে হবে সে মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে সুস্থ নয় । এক্ষেত্রে বলা যায় এ সকল অভ্যাস যার মত দেখা দিবে সে অনিদ্রায় রোগে ভুক্ত ।যে সকল রোগী বা ব্যক্তি অনিদ্রায় ভুগছেন বা অনিদ্রার লক্ষণ আছে । তা বোঝার জন্য যে সকল লক্ষণ দেখা দিতে পারে তাদের মধ্যে সেগুলো হলোঃ রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম থেকে বার বার জেগে ওঠা । কোন জিনিসের উপর মনোযোগ হারিয়ে ফেলা ।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত শরীরের শক্তি বৃদ্ধির উৎস
এবং কোন কাজের প্রতি অলসতা দেখানো । পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমানোর ফলে মাথাব্যথা হওয়া এ ধরনের পরিবর্তন দেখা দিলে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তিকর কাজ করে বসে । সময় ও কালের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের অনিদ্রা রয়েছে । যেমনঃ ক্ষণস্থায়ী বা অল্প সময়ের জন্য ঘুম না হওয়া স্বল্প সময়ের অনিদ্রা ছয় মাসের জন্য স্থায়ী হয় বা এর বেশি হতে পারে । দীর্ঘমেয়াদী বা অধিক সময় অনিদ্রা বেশিরভাগ সময় ৬ মাস বা তার অধিক সময় থাকতে পারে ।
অনিদ্রা বা পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণগুলো বেশিরভাগ মানসিক চাপ বা অসুস্থতা দুশ্চিন্তা এবং বিভিন্ন অতীতের পুরনো ঘটনার জন্য হয়ে থাকে । এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়ার কারণগুলো বিভিন্ন রোগের কারণে হয়ে থাকে । যেমনঃ ডায়াবেটিস এর কারনে, ক্যান্সার বা দাঁতের ব্যথা এবং হাটু বা কোমরে ব্যথার কারণে হয়ে থাকে । রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে মনোযোগ সহকারে আজকের পোস্টে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
অনিদ্রা দূর করার সহজ উপায়
অনেক মানুষই আছে যারা রাতে ঘুম না হওয়ার ফলে তারা বিভিন্ন ফার্মাসি থেকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করে । কিন্তু এতে মানব দেহের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে । এবং বিভিন্ন রোগ এবং স্বাস্থ্যের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে । আমরা জানতে পেরেছি রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।এখন আমরা জানতে চলেছি অনিদ্রা দূর করার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত । মানব জীবনে সুস্থভাবে জীবন-যাপনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো প্রয়োজন ।
আরো পড়ুনঃ হৃদন্ত্রের সমস্যা দূর করার জন্য বাদাম
তবে অনেকের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না । এর জন্য বিভিন্ন ঘুমের ওষুধ সেবন করে ঘুমানোর চেষ্টা করে । এতে করে মানুষ মানুষের জীবনকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছে । ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতিকর এবং মানুষের রক্তনালীর অনেক ক্ষতি করে ফেলে । তবে আজকে জানতে পারবেন অনিদ্রা দূর করার সহজ উপায় সম্পর্কে অনিদ্রা দূর করার জন্য যে সকল কাজগুলো আমাদের করতে হবে সেগুলো হলোঃ
- বেশি রাত জেগে কাজ না করার চেষ্টা করতে হবে ।
- এবং চা বা কফি থেকে দূরে থাকতে হবে ।
- এবং সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন ফেসবুক ইউটিউব থেকে দূরে থাকতে হবে ।
- খাদ্য অভ্যাস বা খাদ্য তালিকা বদলাতে হবে ।
- প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে এবং সকালে ওঠার চেষ্টা করতে হবে।
- এবং প্রতিদিন ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার ও মেলাটনিক যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ।
- এবং প্রতিনিয়ত বা প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম বা শারীরিক চর্চা করতে হবে ।
রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে কি কি সমস্যা দেখা দেয়
অনেক বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুসারে বলা যায় । একজন মানুষের সঠিক এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে তার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে । উপরের লেখাগুলো আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি অনিদ্রা দূর করার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবং রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন । এখন আমরা জানতে চলেছি রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে কি কি সমস্যা দেখা দেয় ।
এই সম্পর্কে বিস্তারিত রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে একজন ব্যক্তির শারীরিক এবং মানসিক ও স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে । এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়ার ফলে একজন মানুষের সুন্দর জীবন নষ্টের দিকে ধাবিত হতে থাকে । বৈশ্বিক গবেষণায় দেখা গেছে যে করোনার সময় ৫০ থেকে ৬০% মানুষ ঘুমের সমস্যার কারণে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে । কারণ করোনা বা মহামারীর সময় অনেকেই তাদের প্রিয় জন । এবং তাদের জীবিকার নির্ভর যোগ্য কাজ বা চাকরি হারিয়ে ফেলেছে ।
এতে মানুষ অনেক দূর চিন্তা এবং ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। এর ফলে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের অনেক অবনতি দেখা দেয় । দূর চিন্তা ফলে মানুষের ঘুম না হওয়ার জন্য অনেকেই মদ্যপান বা তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করে। এতে একটু সময়ের জন্য দুশ্চিন্তা মুক্ত হলেও চিরদিনের জন্য রোগ এবং ব্যাধি তৈরি করছে । ঘুম না হওয়ার ফলে শারীরিকভাবে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে । একজন মানুষ একটানা কয়েকটা রাত না ঘুমিয়ে কাটালে ।
আরো পড়ুনঃ বাদাম খাওয়ার সঠিক সময় এবং পরিমাণ
তার শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমনঃ খিটখিটে মেজাজ হওয়া বা কোন কাজের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলা এবং সুন্দর জীবন অসুন্দরভাবে গড়ে ওঠে ।পারিবারিক সুখ ও শান্তি নষ্ট হয়ে যায় সারাদিন কাজ এবং ক্লান্তির পর রাতে ঘুমটা হলো শান্তির ঘুম । আর এই রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে জন্য মানুষের জীবনযাত্রার ভুল সিদ্ধান্তর ফলে ঘটে। তাই বলা যায় মানুষকে তার নিজের জীবনযাত্রার মান নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত । সারাদিন কাজ এবং ক্লান্তি দূর করার জন্য রাতে ঘুমানো খুবই প্রয়োজন ।
প্রতিদিন রাতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর ফলে পরের দিন নিজেকে অনেকটা ফ্রেশ অনুভব মনে হয় । সে কারণে প্রত্যেকটি ব্যক্তির সঠিক পরিমাণে ঘুমানো দরকার । যাতে সঠিক পরিমাণ ঘুম হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে বুঝার জন্য কয়েকটি ধাপ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি বা অলসতা না থাকা।
- সারাদিন ফ্রেশ মাইন্ডে থাকা এবং ঘুম না পাওয়া।
- বারবার ঘুমানোর পর ঘুম ভেঙ যাওয়া।
- ঘুমের সময় অতিরিক্ত পরিমাণ নাক না ডাকা।
- যেকোনো কাজে অমনোযোগী না হওয়া ইত্যাদি ।
রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়ার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যেমনঃ
- বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা।
- অতিরিক্ত সময় মোবাইল ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নিয়ে কাজ করা এবং একই ধারে তাকিয়ে থাকা।
- মানুষই চাপ এবং শারীরিক চাপের কারণেও ঘুম না আসা।
- এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণ চা বা কপি পান করা।
শরীরে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং স্বাবলম্বী করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন থাকা জরুরি। এবং কি শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব বুঝতে চান তাহলে আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়ার কারণ হতে পারে। ঠিকমতো ঘুম না হলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানার আগে শরীরে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এই বিষয়ে জানা বিশেষ প্রয়োজন । শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে অনেক সমস্যা দেখা দেয় । তবে বিশেষ করে ভিটামিন বি এর অভাবে শরীরে ঘুমের অভাব দেখা দেয়।
কারণ ভিটামিন বি এর মাত্রা কম থাকলে মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন ভিটামিন মাত্রা কমে যায় । এর ফলে শরীরে ঘুমের অভাব বা রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না । মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন এই দুটি হরমোন শরীরে পরিমাণ মতো থাকা খুবই প্রয়োজন। কারণ এই দুটি ভিটামিনের কারণে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হয় । এই ভিটামিন দুটো শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ রাখার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত আমি জাতীয় খাবার তালিকায় রাখা উচিত।
যেমন দুধ বড় মাছ মাংস এবং আমিষ সমৃদ্ধ খাবার এছাড়াও রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না আসার জন্য ভিটামিন বাদেও আরো অন্য কারণেও হতে পারে । এর জন্য রাতে ঘুম না হলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে । এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
অল্প সময়ের মধ্যে ঘুম আসার সহজ উপায়
শরীরে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানতে পেরেছি এবং
রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত বুঝাতে পেরেছি
এখন আমরা আলোচনা করব অল্প সময়ে ঘুম আসার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আপনি কি
অল্প সময়ে মধ্যে ঘুম আসার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের এই
পোস্টটি হতে পারে আপনার সমাধান আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা চেষ্টা করার পরেও ঘুমাতে
পারছেন না আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানাবো অল্প সময়ের মধ্যে ঘুম আসার
সহজ উপায় সম্পর্কে অল্প সময়ের মধ্যে ঘুম আসার কিছু নিয়ম নিচে উল্লেখ করা
হলো
- প্রথমে মাথা এবং মনকে দুশ্চিন্তা এবং চাপমুক্ত করতে হবে ।
- শরীরকে শান্ত এবং মস্তিষ্ক শান্ত করতে হবে ।
- অনেক গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে এবং আস্তে আস্তে তা ছাড়তে হবে ।
- শরীর ঘাড় এবং ধ কাঁধ শীতল করতে হবে ।
- বুকে পেট ও পায়ের পাতা সহ শীতল করতে হবে ।
- সুন্দর এবং ভালো ঘুমানোর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে ।
ভালো ঘুমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে শারীরিক ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরী। প্রথমে হালকা ব্যায়াম করলেও ধীরে ধীরে শরীর সক্রিয় এবং স্বাচ্ছন্দ হয়ে থাকে। প্রতিদিন রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষ যুক্ত খাদ্য খেতে হবে। কারণ আমি যুক্ত খাদ্য খেলে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে। এছাড়াও প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়া প্রয়োজন। কারণ আমাদের শরীরে আরাম এবং ভিটামিনের অভাব পূরণ করে।
ঘুমের জন্য প্রতিদিন দুধ খেলে ঘুম না হওয়ার সমস্যা দূর হবে। দ্রুত এবং অল্প সময়ের মধ্যে ঘুম আসার জন্য সাতটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এই সাতটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে সহজে ঘুম আসতে পারবেন। এবং এই পদ্ধতি গুলো স্নায়ু এবং শ্বাস তন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। এবং এই পদ্ধতি গুলো যোগ্য ব্যায়াম থেকে অনুপ্রাণিত । ভাই প্রতিদিন সকালে দুট বন্ধ করে চার পর্যন্ত গুনে ধীরে ধীরে শ্বাস গ্রহণ করুন এবং শ্বাস ছেড়ে দিন।
এবং একটি লম্বা শ্বাস নিয়ে মনে মনে ৫ থেকে ৭ পর্যন্ত গুনতে থাকুন এবং গুনা শেষ হলে একটি লম্বা শ্বাস নিন। এই পদ্ধতি গুলো ভালোভাবে অবলম্বন করলে দ্রুত ঘুম আসা সম্ভব। এছাড়াও আরো কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে অনেক সহজে এবং দ্রুত ঘুম আসা সম্ভব। যেমনঃ প্রথমে বড় একটা লম্বা শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে ছাড়ুন। তারপর পুরো শরীরকে শীতল করুন এবং মস্তিষ্ককে শান্ত রাখুন । দুহাত এবং মুখের পেশিকে শীতল করতে হবে।এছাড়াও আরো কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে যেমনঃ প্রতিদিন রুটিন পদ্ধতি পিএম আর পদ্ধতি গাইডলাইন ইমেজারি পদ্ধতি পালন করুন।
আরো পড়ুনঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বাদাম
এ সকল পদ্ধতি পালন করলে অনেক অল্প সময়ে মধ্যে ঘুম আসতে পারবেন। এছাড়াও প্রতিদিন ঘুমানোর রুটি এবং ঘুম থেকে ওঠার রুটিন চেঞ্জ করতে হবে। কারণ ঘুমানোর জন্য সঠিক নিয়ম পালন করা জরুরী। প্রতিদিন সঠিকভাবে ভালো রাখতে হবে। এবং ঘুমানোর আগে দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে হবে। এবং শরীরকে এবং মস্তিষ্ককে স্থির রাখতে হবে কোন চিন্তাভাবনা মাথায় আনা যাবে না । উপরোক্ত বিষয়গুলো এবং পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে আপনি রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও গুরুত্ব বিষয় গুলো পালন করলে আপনি রাতে অনেক অল্প সময়ের মধ্যে ঘুম আসতে পারবেন।
রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ
রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
- নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তোলাঃ প্রতিদিন যে সময় ঘুমাতে যান সে সময় ঘুম থেকে উঠতে হবে।
- সন্তলিত খাবার গ্রহণঃপ্রতিদিন ঘুমের গুনাগুন মান বৃদ্ধি করার জন্য অতিরিক্ত ভারী এবং তৈলাক্তযুক্ত খাবার না খাওয়া কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে
- খাদ্য অভ্যাসে শাকসবজি এবং ফলমূল বেশি রাখা।
- মানসিক চাপ কমানোঃ ঘুমানোর আগে মানসিক চাপ কমাতে হবে। মেডিটেশন যোগব্যায়াম বা দীর্ঘশ্বাস প্রশাসের ব্যায়াম করতে পারেন।এতে শরীর শীতল করে এবং মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করে।
- ঘুমানোর পরিবেশ উন্নত করাঃ ঘুমানোর জন্য ঘুমানোর পরিবেশটা খুবই প্রয়োজন। পরিবেশকারণ ভালো ঘুমানোর জন্য আরামদায়ক এবং সাইলেন্ট শান্ত পরিবেশ ঘুমানোর জন্য উপযুক্ত। এছাড়াও রুমের পরিবেশ বালিশ এবং ম্যাট্রেস ব্যবহার করুন।
- বিশ্রাম নেওয়াঃ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেওয়া আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। শুধু ঘুম ভালো জন্যই বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন নয় । এছাড়াও শরীরের ক্লান্ত দূর করার জন্য বিশ্রাম নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
- চিকিৎসকের পরামর্শঃ দৈনন্দিন জীবনে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মগুলো মানতে হবে।
আই এনটি আইটি সাইডর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url